প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম
শিল্পকারখানার সংশ্লিষ্টতায় শিক্ষা
শিল্পকারখানার সংশ্লিষ্টতায় হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব বিষয়ে অভিজ্ঞ প্রকৌশলী কর্তৃক আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও কাজের পরিবেশ সর্ম্পকে বাস্তব ধারণা অর্জন করে। অর্জিত জ্ঞান দক্ষ প্রকৌশলী হতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
গেস্ট স্পিকারের মাধ্যমে শিক্ষাদান
শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীরা শিল্প কারখানার অভিজ্ঞ প্রকৌশলী কর্তৃক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও তার ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণের ফলে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সাথে সাথে দৃঢ়তা ও সাহসিকতার মাধ্যমে কাজ করতে সক্ষমতা অর্জন করে।
সৃজনশীল মেধার বহিঃ প্রকাশ
উদ্ভাবনী মেলা, বিজ্ঞান মেলা ও ডিজিটাল মেলায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে স্ব-স্ব টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী যন্ত্রপাতি জনসম্মুখে তুলে ধরে সৃজনী মেধার বহিঃপ্রকাশ করে। পরবর্তীতে উক্ত শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে উদ্ভাবক হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা আধুনিক বিশ্বায়নের মূল হাতিয়ার।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
🔴 ওরিয়েন্টেশনঃ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিবছর নবাগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েন্টশন ও কলেজ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। দেশ বরেণ্য আলোকিত অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
🔴 জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস এবং জাতীয় উৎসব পালনঃ সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন এবং উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় উৎসব পালনসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী স্বরস্বতী পূজা এছাড়া 🔸 মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী আলোচনা সভা 🔸 বনভোজন 🔸 শিক্ষা সফর 🔸 দেয়ালিকা ও রোভার স্কাউট-এ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে নেতৃত্বের সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
🔴 বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানঃ তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক শিক্ষার একঘেয়েমিতা থেকে উদ্যমী হতে প্রতি বছর আন্তঃ কলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
চাকরি ও উদ্যোক্তা মেলা
শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার সাথে সাথে প্রতিবছর Job Placement Cell I Industrialization Consultation Corner- এর সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত হয় চাকরি ও উদ্যোক্তা মেলা। পরিশেষে মেলাটি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে সকলকে মুক্ত রাখার এক মিলন মেলায় পরিনত হয়।
স্কলারশীপে অধ্যয়ন
Higher Education Help Desk এর মূল লক্ষ্য পাশকৃত শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় এগিয়ে নেওয়া। সার্বিক সহযোগীতা ও প্রচেষ্টায় ২০১৯ সনে সরকারি স্কলারশীপে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ জন, DUET ও BTEC-এ ৫ জন এবং বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।
সেমিনার ও অভিভাবক মিলনমেলা
মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশার মানুষের স্ব-নির্ভরতায় প্রযুক্তিগত শিক্ষা স্লোগানের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার এবং ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নে প্রতি বছর অভিভাবক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
দেশ-বিদেশে শিক্ষক প্রশিক্ষণ
কাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। সে লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞ দ্বারা ২০১৭ সাল থেকে সরকারি অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানের ভেন্যুতে In-House-Training শুরু হয়। তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক ক্লাসের গুনগতমান বৃদ্ধি ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দানের লক্ষ্যে ঢাকার IUT, TTTC ও BITAC-থেকে প্যাডাগোজিক্যাল, পিএলসি, অটোক্যাড, অটোমোবাইল, মেশিনশপ, Gear & Suprocket Mananufacture এবং Cyber Security & Ethics এর উপর শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এছাড়া সিঙ্গাপুরের Nanyang Polytechnic Institute (NYPi )-থেকে Inovation In Teaching & Learning এর উপর বাছাইকৃত শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়।
কারিগরি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র পরিচালনায়
🔴 খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয় 🔴 খুলনা মেডিকেল ইন্সটিটিউট
🔴 খানজাহান আলী জুট এন্ড টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট 🔴 খানজাহান আলী কৃষি কলেজ
শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদানে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও গবেষনা কেন্দ্রে নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাব ও ওয়ার্কশপ। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার জন্য রয়েছে অডিটোরিয়াম ও খেলার মাঠ।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীর স্মৃতিচারণ
শুরুটা ছিল আমাদের খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্র ও ব্যস্ততম এলাকা শিববাড়ী মোড়ের টিসিবি ভবনে। এক বছর পর নবীনদের আগমনে স্থান সংকুলান না হওয়াতে আমাদের পরবর্তী সেমিষ্টার গুলোর লেখাপড়া চলে নিকটবর্তী মজিদ স্মরণী রোডের ইয়াহিয়া সাহেবের ভবনে। বাংলাদশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ফলাফলে আমরাই ছিলাম সেরা। বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দের সাথে সাথে বিদায়ের কথা মনে করে হৃদয়টা যেন হতে থাকে ফাঁকা। পেশা ও লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে চাকরির পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষাও শেষ করি। সংসার জীবনে ব্যস্ততম সময়ে সিনিয়র-জুনিয়র মিলে গিয়েছিলাম আমাদের মহাবিদ্যালয়ের বয়রা স্থায়ী ক্যাম্পাসে, যোগ দিয়েছিলাম “অমর একুশে ফেব্রুয়ারী”-এর প্রভাত ফেরীতে। প্রতিদিনের চলার পথে সকল ভাবনার দোলাচলে আজও মনে পড়ে খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়কে।
ডিপ্লোমা শিক্ষার গুরুত্ব
বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর। যে দেশের যত বেশী জনগণ প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত সে দেশ তত বেশী উন্নত। জাপান ও জার্মান-এর ৮৫% জনগণ প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত, সেখানে আমরা ১২% এ উন্নীত হয়েছি মাত্র। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর সরকারি চাকরিতে ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকরি, এবং উচ্চ শিক্ষার সুযোগ রয়েছে দেশ-বিদেশের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্র সারা বিশ্বে, সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিতদের কর্মক্ষেত্র শুধু মাত্র নিজ দেশে। দেশ তথা নিজের উন্নতির মূল কারিগর হল কারিগরি তথা ডিপ্লোমা শিক্ষা।